মিলন তীর্থের অন্যরকম প্রচেষ্টা

মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছিলেন করোনা  বিপর্যস্ত সময়ে ক্লাবগুলি এগিয়ে আসুক। এই কথা বলার আগেই কামারহাটির 'পরিষেবা'র  সোমনাথ রায় চৌধুরী( বাবুদা)  ত্রাণের কাজটা শুরু করেছিলেন। কামাহাটির পৌরসভার জনপ্রতিনিধি নিয়ন্ত্রিত ক্লাব সংগঠন ছাড়াও  ১ থেকে  ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের অসহায় দিন মজুররা এই সেবা যথাযথ নিচ্ছেন। তবে সদ্য সরকারি স্বীকৃতি প্রাপ্ত ক্লাব *কামাহাটির মিলন তীর্থ* স্পোর্টিং ক্লাবের  ত্রাণ অবশ্য একটু অন্যরকম। ক্লাব সম্পাদক  প্রসূন রায় দিনের বেলায় প্রকৃত দরিদ্র অসহায়, প্রতিবন্ধী মানুষের খোঁজ নিচ্ছেন এবং দিনশেষে অর্থাৎ রাতের অন্ধকারে নিজের স্কুটারে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন  জাতি ধর্ম, রাজনৈতিক ভেদাভেদ নির্বিশেষে। সদ্য পিতৃহারা প্রসূনের মতে
"এমন অনেক মানুষ আছেন যারা শারীরিক দুর্বল, অশীতিপর বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, ছেলে মেয়ে অনেক দূরে রয়েছেন, তাঁদের অনেক সময়  ত্রাণ লাইনে আসার সামর্থ  থাকে না, তাই এই প্রচেষ্টা"। প্রসূনের এই সেবাকে স্থানীয় প্রশাসনও স্বাগত জানিয়েছেন। 
   প্রসূনের এই উদ্যোগকে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করেছেন প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র। প্রসূনের কথায় "মদন দা না থাকলে এই সেবা পৌঁছে দিতে পারতাম না"। এছাড়াও দিনের বেলায় প্রসূন নিজের অঞ্চলকে দূষণমুক্ত  স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থায় অংশ নিচ্ছেন। রাতের এই সাহায্য কে অঞ্চলবাসী বলেছেন সপ্তিক অর্থাৎ এটাও একটা রাত্রীকালীন যুদ্ধ।  কারণ প্রথম দিকে  কয়েকজন ক্ষমতালোভী মানুষ প্রসূনের এই কাজে বাধা  দান করেছিল, স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তা আর বাধাপ্রাপ্ত হয়নি।


Share:

Related Posts:

No comments:

Post a Comment

Blog Archive

Vote Geeti

Vote Geeti