পেশায় ছিলেন শিক্ষক। অবসর নিয়েছেন বেশ কয়েক বছর হল। অবসর নিলেও তার কর্মকান্ড থেমে থাকেনি। কাজ পাগল মানুষটি একজন সাহিত্য সংগঠক। প্রতি সপ্তাহে নানা সাহিত্য সম্মেলনে তার অবাধ বিচরণ। কোথাও সম্মানিত হচ্ছেন কোথাও বা প্রধান অতিথির আসনে। নিজে কবি নাট্যকার। পাশাপাশি নাটকের কুশীলবও।
কিন্তু গোলমাল হল করোনা ভাইরাসের দাপটে। যাতায়াত বন্ধ। লকডাউনের বাজারে শরীরটা বাড়িতে থাকলেও মনটা কিন্তু ঘুরে বেড়াচ্ছে সাগর থেকে পাহাড়। আসলে সারা বছর যিনি সারা রাজ্য জুড়ে সাহিত্যকর্মে জড়িত থাকেন তার মন কি কান্দী শহরের মানচিত্রে আটকে থাকবে? না। থাকতে পারে না। কবি মানুষের মন তো ফুলের মত নরম। পরের দুঃখ দেখলে স্থির থাকতে পারেন না। যে মানুষগুলো দুবেলা পেট ভরে খেতে পাচ্ছেন না তাদের পাশে তিনি তো থাকবেনই।
বিবেকানন্দের আদর্শ তাকে এগিয়ে দিয়েছে সামনের দিকে। শুধু নিজে নয় তার পরিচিত পরিজনদের কাছে ও তুলে ধরছেন সেবার আদর্শ। তাদেরকে অনুপ্রাণিত করছেন। তারাও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। নদীয়ার আদিবাসী গ্রাম তাঁতিগাছি। সেখানেই শুরু। তারপর থেমে থাকেনি। চলছে ত্রাণের কাজ। সবসময় ভাবছেন অর্ধাহারে থাকা মানুষ গুলোর কথা। তিনি তো এযুগের নবকুমার।
No comments:
Post a Comment